ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন দেশসেরা অলরিউন্ডার সাকিব আল হাসান। আর তাতেই কপাল খুলেছে নাসুম আহমেদের।
কারণ, গায়ানায় স্পিনবান্ধব উইকেটে সাকিবের অভাব মেটাতে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম ডাক পান একাদশে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে অভিষেক ঘটে সুনামগঞ্জের এই কৃতি ক্রিকেটারের। আর ভাগ্যক্রমে পাওয়া সুযোগটি কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন এ বাঁহাতি অর্থডক্স বোলার।
প্রথম ওয়ানডেতে উইকেটশূন্য থাকলেও দারুণ বোলিং করেন। প্রথম ৩২ বলের ৩১টিই ডট দেন তিনি। ৮ ওভারে ৩ মেইডেনসহ মাত্র ১৬ রান দেন বাঁহাতি এই স্পিনার। আর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৮ রানে গুটিয়ে ফেলার ম্যাচে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারের তিনজনকেই ফেরান নাসুম। তার বোলিং ফিগার (১০- ৪-১৯- ৩)। কিন্তু এমন জাদুকরী পারফরম্যান্সের পরও ওয়ানডে একাদশে নাসুমের ঠাঁই পাওয়াটা এখনও নিশ্চিত নয়।
কেননা জিম্বাবুয়ে সফর শেষে পরবর্তী কোনো ওয়ানডে ম্যাচে সাকিব ফিরছেন নিশ্চিত। তখন কম্বিনেশন বিবেচনায় বাংলাদেশ দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে নামবে কি না সেটি দেখার বিষয়।
তবে কি সাকিবের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একাদশে টিকে থাকতে হবে নাসুমকে? নাসুম জানালেন, সাকিবের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে চান না তিনি। শুধু সাকিব নয়, দলের কারও সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেতে চান না তিনি। আপাতত দলে সুযোপ পেলে পারফর্ম করে যেতে চান তিনি।
সুযোগ পাওয়াটা ভাগ্যের উপরই ছেড়ে দিলেন নাসুম। ২৭ বছর বয়সি এ অফস্পিনার বললেন ‘তাইজুল (ইসলাম) ভাই ওনার জায়গায় খেলবেন, আমি আমার জায়গায়। আমি তাইজুল ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গেও না।
দলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছি এমন না। যে কটা ম্যাচই খেলি, ভালো খেলার প্রবণতা থাকে। স্থায়ী হয়ে গেছি, এটি মনে করি না। আমাকে খেলতে হলে পারফর্ম করেই খেলতে হবে। দলের সবার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে জানালেন নাসুম।
বললেন, ‘অপেক্ষা করছিলাম, সুযোগ আসবে, সুযোগ আসবে। এসেছে, (ভালো) করেছি, ভালো লাগছে। আর (দলের) সবাই পছন্দ করে। আমাকে নিয়ে সবাই মজা করে, হাসাহাসি করে। সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক। তামিম ভাই ব্যক্তিগতভাবে অনেক সমর্থন করে। খুব ভালো লাগছে। নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টিও খোলাশা করলেন নাসুম।
জানালেন, উইকেট নয়, ডট বল দিতে আগ্রহী বেশি তিনি। তখন উইকেট এমনিতেই আসবে। নাসুম বলেন, ‘আমার প্রথম পরিকল্পনাই থাকে ডট বল করা। পাওয়ারপ্লেতে (বোলিং) করতে হয়, ফলে প্ল্যান থাকে যাতে রানটা আটকাতে পারি। ওই পরিকল্পনাতেই সফল হয়েছি। উইকেট পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পাওয়াতে যে আক্ষেপ ছিল, সেটি চলে গেছে আরকি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।